Skip to main content

নিজেকে সফল হিসেবে দেখতে চাইলে এই প্রশ্ন গুলো করুনঃ

যখন আমরা আমাদের নিজেদের উপর ভরসা করতে পারি না, কোনো কিছু কূল কিনারা খুঁজে পাই না,  ঠিক তখনই আমরা আমরাদের পরিবার, বন্ধু, আত্মীয়-স্বজন, শিক্ষক, গুরুদের শরণাপন্ন হয়ে থাকি। আমরা তাদের কাছে সুপরামর্শ চেয়ে থাকি যে আমাদের এখন কি করা উচিত, কেন করা উচিত বা কিভাবে করা উচিত। জানতে চাই কিভাবে গুছিয়ে নেয়া যেতে পারে সম্পর্ক, ক্যারিয়ার, কিভাবে সাজানো উচিত পরিকল্পনা, কিভাবে বেছে নেয়া উচিত সুযোগ আর কিভাবেই বা মনের দ্বিধাদ্বন্দ্ব কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। সিদ্ধান্ত নেবার ব্যাপারে আমরা সব সময় মেজরিটিকেই প্রাধান্য দিয়ে থাকি, তাদের মতামত, তাদের দর্শনকে নিজের জীবন দর্শন বলে ভেবে নেই । নিজেরদের এসেসমেন্ট করে থাকি অন্যের যুক্তির দ্বারা, প্রভাবিত হই অন্যের মতাদর্শনে। তবে সর্বক্ষেত্রেই যে অন্যের যুক্তি জীবনে মঙ্গল বয়ে আনবে তা কিন্তু ভাবা অনুচিত, এতে করে হারিয়ে ফেলতে পারেন নিজের স্বতন্ত্রতা। 
 

 
সাধারণত আমরা তাদের কাছেই পরামর্শ নিতে পছন্দ করি, যাদেরকে আমরা ভালবাসি বা পছন্দ করি, যাদের উপর আমরা নির্দ্বিধায় ভরসা করতে পারি। ভালবাসার জায়গাতে তাদের স্থান উঁচুতে হলেও তারা যে সবসময় আমাদের জন্য সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সহায়ক হবে তা কিন্তু মনে কত অনেক বড় ভুল। প্রকৃতপক্ষে এটা সত্যিই বড্ড কঠিন কাজ যে কারো জন্যেই, কারণ অন্যের জন্য প্রযোজ্য সঠিক সিদ্ধান্ত খুঁজে এনে তাকে একাই সমধান দিয়ে দেয়া। একজনের পাশে দাড়িয়ে তাকে গাইড লাইন দেয়া আর সম্পূর্ণই অন্যের চালিকা শক্তি হয়ে তার পাশে দাঁড়ানো এ দুইয়ের মধ্যে রয়েছে বিস্তর তফাৎ। আর সে কারণেই গ্রেট মেন্টরস বা কোচরা একরকম গেম-চেঞ্জার: তারা সমাজের সোরগোল, সমালোচনা থেকে আপনাকে দূরে রাখতে সাহায্য করে এবং আপনার নিজের সত্য উদঘাটন নিজেকেই কাজে লাগাতে সাহায্য করে থাকে। তাদের ভূমিকা প্রায়শই নীরব। 
 

 
আমি মনে করি, কি হবে আর কি হবে না এই চিন্তা চেতনা বা অন্যের কাছে সাহায্যের আশা না করে বরং নিজেরাই নিজেদের জন্য সমাধানের পথ খুঁজে নিতে পারি।  এটা বরঞ্চ বেশি সহজ। আমাদের নিজেদেরকে ঘিরে যে কোনো সমস্যার, যে কোনো প্রশ্নের জবাব আমাদের নিজেদের কাছেই রয়েছে এবং নিজের চেয়ে ভালো আর কেউ জানতেই পারেনা, শুধু সমস্যার সমাধান খনন করতে একটু বেশি সময় আর ধৈর্য্য লাগে এই আর কি। কারণ নিজের সমস্যার কথা আমি, আপনি যতই চাই পুরোপুরি খোলসা করে কাউকেই বলতে পারি না, জড়তা, লজ্জা থেকেই যায়। কিন্তু নিজের কাজ থেকে তো আড়াল করার কিছু নেই, কেউ নিজেকে কখনই মিথ্যে বলতে পারে না।  নিজেদের উপর পূর্ণ ভরসা ফিরিয়ে আনতে, নিজেরাই নিজেদেরকে এসেস করতে, নিজেকে পুনরায় আবিষ্কার করতে, নিজের আলটিমেট লক্ষ্যে শেষ পর্যন্ত অটুট থাকতে শুধু নিজের সাথে নিজের যোগাযোগ রাখলেই চলে, তাহলেই সামনে বেরিয়ে আসে সুস্পষ্ট জবাব।  আর এই যোগাযোগের মাধ্যম হলো প্রশ্ন ; হুম, প্রশ্ন, নিজের সাথে নিজের প্রশ্ন। 
 

 
আমি যখনি এরকম দ্বিধাদ্বন্দ্বে জড়িয়ে গেছি নিজের সাথে নিজেই, তখনই নিজেকে কিছু প্রশ্ন করে এবং নিজেই সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে বেরিয়ে এসেছি সেই বিড়ম্বনা থেকে। উদাহরণ প্রসঙ্গে আমরা ক্যারিয়ার নিয়েই বরং খানিক আলোচনা করলেই পেয়ে যেতে পারি নিজেদের ক্যারিয়ার বিষয়ক যে কোনো সমস্যার সমাধান কিছু প্রশ্নের মাধ্যমে। আসলে অনেক প্রশ্নই করা যেতে পারে, তবে যে কোনো বিষয়ের জন্য নিজেকে নিচের ১০০টি প্রশ্ন করে দেখুন তো একবার, ফল পান কি না মিলিয়ে নিন।  এই প্রশ্নগুলি বলে দেবে আপনার বর্তমান অবস্থান আর সত্যি কোথায় আর কতটা দূর পর্যন্ত নিজেকে দেখতে চান। প্রতিটি প্রশ্নই অনেক শক্তিশালী ভূমিকা রাখে কারণ এগুলিই আপনাকে আপনার কাঙ্খিত লক্ষ্যে নিয়ে যেতে আপনাকে সাহায্য করবে।  এই অ্যাকশেনেবল স্টেপসগুলিই ধাপে ধাপে আপনাকে পৌছে দিবে আপনার স্বপ্নের পথে। তবে একটা দিক, স্বচ্ছতা অতি আবশ্যক এক্ষেত্রে।  ওই যে, নিজেকে নিজে ফাঁকি দিলে চলবে না।  সৎ থেকে প্রত্যেকটা প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে হবে, এখানে কিছু হারানোর ভয় নেই, সন্মান খোয়ানোর আশংকা নেই। এভাবে প্রত্যেকটা স্টেপে নিজের উত্তর খুঁজে নিতে হবে শেষ পর্যন্ত। এখানেই কিন্তু শেষ নয়, এভাবে যেতে যেতে একসময় পুনরায় ফিরে আসতে হবে আর সকল প্রশ্নের জবাবগুলো ফ্রেশ করে লিপিবদ্ধ করতে হবে। তারপর একবার রিভিউ করুন, দেখবেন বুঝে যাবেন ঠিক কি করতে হবে আপনাকে, পেয়ে যাবেন সমধান, কেটে যাবে সকল ধোয়াশা, অস্থিরতা, আর বাই ডিফল্ট পুনর্জ্জীবিত হবে আপনার নিজের উপর আস্থা, বিশ্বাস আর ভরসা, খুঁজে পাবেন নিজেকে। তাহলে চলুন প্রশ্ন করি নিজেদের :
 
১. আপনি কি জানতে চান? 
২. আপনি আপনার অবসর সময়টাতে কতটা মজা করে থাকেন? 
৩. আপনি কি কোনো নির্দিষ্ট কাজ বার বার করেন কারণ কারণ আপনি মনে করেন যে এটা আপনার করা উচিত?
৪.আপনি আপনার কর্মজীবন বা বর্তমান কর্মক্ষেত্র বেছে নিয়েছেন আপনার পরিবারের চাপে বা জন্য, মা-বাবাকে খুশি করতে, সমাজে নিজের অবস্থান তৈরী করতে, বেছে নিয়েছেন কারণ আপনি নিজেকে চেয়েছিলেন এই কাজে দেখতে নাকি আপনাকে এই কাজ করতে হচ্ছে শুধুই টাকা রোজগারের জন্য? 
৫. আপনি কি মনে করেন যে, শুধু কাড়াকাড়ি টাকা উপার্জন করলেই আপনি সুখী মানুষ হতে পারবেন? 
৬. আপনি কিভাবে কাজকে সংজ্ঞায়িত করবেন?
৭.আপনি কি বিশ্বাস করেন যে আপনি যে কোনো কাজই ভালোবেসে করতে পারেন আর সেটা করেই আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন?
৮. আপনার স্বপ্ন কি?
৯. বাস্তবতার সাথে সেই স্বপ্নের মিল আছে কি? থাকলে কতটুকু?
১০. আপনি আপনাকে বিশ্বাস করেন তো? কতটা ভরসা আছে আপনার নিজের উপর? কতটা কনফিডেন্ট আপনি?
১১. আপনার বর্তমান জীবন যাপনে কোন ধরনের চ্যালেঞ্জগুলো আপনাকে বেশি প্রভাবিত করে? কিসে উত্তেজিত হয়ে যান আপনি?
১২. আপনি আপনার কাজের দ্বারা কিভাবে অন্যদের জীবনযাত্রা আর পুরো বিশ্বকে প্রভাবিত করতে চান? 
১৩. আপনি কি ওভার কনফিডেন্ট যে কোন এক বিশেষ বিষয়ে আপনি অনেক বেশি পারদর্শী? আপনার কম্পেটেটিভ অ্যাডভান্টেজেস কি?
১৪. আপনি কাকে আপনাকে সমর্থন করার যোগ্য মনে করেন? 
১৫. আপনি কি বিশ্বাস করেন কে কঠোর পরিশ্রম আর লক্ষ্যে অবিচল থেকে আপনি যাই চান তাই হাসিল করে নিতে পারেন? 
১৬. আপনি কি মনে করেন আপনার যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তা রয়েছে? বা ঈশ্বর প্রদত্ত বিশেষ প্রতিভা রয়েছে?
১৭. যদি তাই মনে করে থাকেন, তাহলে আপনার ক্যারিয়ার গঠনে এটা কিভাবে আর কতটা সাহায্য করেছে?
১৮. আর যদি তাই মনে না করে থাকেন, তাহলে এই বুদ্ধিমত্তার অভাবে ক্যারিয়ারে আপনাকে কি কি হেঁপা পোহাতে হয়েছে?
১৯. আপনি মূলত কার বা কাদের থেকে ক্যারিয়ার বিষয়ক পরামর্শ নিয়ে থাকেন?
২০. তাদের পরামর্শ কি আপনার লক্ষ্যের সাথে যায়? তারা কি আপনার পক্ষে কথা বলে নাকি বিপক্ষে? কেন বলে? (যেমন : পরিবার, বন্ধু ইত্যাদি) 
২১. যখন আপনি কলেজে পড়তেন তখন আপনার নিজের জীবন আর ক্যারিয়ার নিয়ে কি ধরনের কল্পনা মনে মনে করেছিলেন?
২২. আপনি কর্মক্ষেত্রে কাজ করতে গিয়ে কি চান : অধিক আনন্দ নাকি অধিক ক্ষমতা?
২৩. আপনি কি একেবারে আপনার পিতামাতার মতই হতে চান?
২৪. কেন বা কেন নয়?
২৫. নিজের আত্মবিশ্বাস বাড়ানোর জন্য আপনি কি কি করেছেন?
২৬. সেই পদ্ধতিগুলো কি আপনি প্রায়ই চেষ্টা করে দেখেন?
২৭. যদি না হয়ে থাকে, তাহলে কেন পারেন না সবসময় সেগুলো প্রাকটিস করতে?
২৮.আপনি কি নিজের উপর যত্নশীল? সুস্বাস্থ্যের অধিকারী? হেলদি ফুড খান, নিয়মিত ব্যায়াম করেন?
২৯. যদি না হয়ে থাকে এসব তাহলে কেন নয়?
৩০. আপনি কি আপনার কাজকে পছন্দ করেন, সেই কাজ করতে ভালোবাসেন?
৩১. আপনার কি মনে হয় যে আপনার অবদানকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করা হয়ে থাকে?
৩২. আপনি কি আপনার উধস্তন কর্মকর্তা এবং আপনার সহকর্মীদের বিশ্বাস করেন?
৩৩. আপনি কি সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেস মাইন্ডে অফিসে যাবার জন্য সদা প্রস্তুত থাকেন?
৩৪. যদি না হয়ে থাকে তাহলে এর পেছনে কি কারণ?
৩৫. আপনার কাজের কোন বিষয়গুলো আপনাকে বেশি টানে?
৩৬. আপনি কত ঘন ঘন উদাস বা বোরড ফিল করেন?
৩৭.আপনার নিজের মতামত বা আইডিয়াগুলো আপনার কলিগ বা ম্যানেজারদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনি কতটা প্রোএকটিভ থাকেন?
৩৮.আপনার কাজের ক্ষেত্র এবং সেখানকার পরিবেশ বা কালচারকে আপনি কিভাবে বর্ণনা করবেন?
৩৯. আপনি ওই কালচার বা সংস্কৃতির সাথে মেলাতে পারেন সাবলীলভাবে?
৪০. আপনি কি আপনার কাজের জায়গায় প্রায়শই প্রাণ খুলে হাসতে পারেন?
৪১. প্রতিষ্ঠানের লিডার বা উধস্তন কর্মকর্তাদের কাজকর্ম আপনাকে কতটা ইন্সপায়ার করে থাকে? 
৪২. প্রতিষ্ঠানের লিডার বা উধস্তন কর্মকর্তাদের সাথে আপনার কি সরাসরি কথা হয় বা যোগাযোগ আছে?
৪৩. আপনার কাছে এটা পরিষ্কার তো যে উক্ত প্রতিষ্ঠানে আপনার জন্য পরবর্তিতে কোন লেভেলটি অপেক্ষা করে আছে?
৪৪. সেটা মনে করে কি আপনি খুশি নাকি খুশি নন?
৪৫. শুধু দায়িত্বের জন্য নয় বরং ভালোবেসে কাজ করাটা আপনার জন্য কতটা গুরত্বপূর্ণ?
৪৬. আপনি যাদের সাথে কাজ করছেন তারাও ভালোবেসে কাজ করবে এই বিষয়টা আপনার কাছে কতটা গুরত্বপূর্ণ এবং কেন?
৪৭. আপনার কি সুনির্দিষ্ট ক্যারিয়ার ভিশন রয়েছে?
৪৮. আপনি কি আপনার সেই ভিশনের জন্য লক্ষ্যে অবিচল?
৪৯. জব সিকিউরিটি আপনার জন্য কতটা ভাববার বিষয়?
৫০. আপনি আপনার ক্যারিয়ারে কতটা পর্যন্ত রিস্ক নিতে আগ্রহী এবং আপনার কমফোর্ট জোন কি?
৫১. শেষ কখন ক্যারিয়ারে আপনার সাথে এমন কিছু হয়েছিল যে আপনি ভয় পেয়েছিলেন?
৫২. কেমন ছিল সেই অভিজ্ঞতা? শেষ পর্যন্ত সেটি কি ছিল? উল্লাসজনক নাকি আশংকাজনক?
৫৩. আপনি আপনার কাজের দ্বারা কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ?
৫৪. কাজে স্বয়ংসম্পূর্ণতা নিয়ে আপনি কতটা যত্নশীল?
৫৫. পারপাস ড্রাইভেন হয়ে কাজ করার সুবিধাগুলো কি কি, যদি কি না আপনি এমনটা না হয়ে থাকেন?
৫৬. কাকে সবচেয়ে বেশি আপনি তারিফ বা প্রশংসার দাবি মনে করেন?
৫৭. তারা কি প্যাশন আর উদ্দেশ্য চালিত বা পারপাস ড্রাইভেন হয়ে কাজ করে?
৫৮. আপনি কি মনে করেন আপনা যে ধরনের কাজ পছন্দ করেন আপনি ঠিক সেই ধরনের ক্যা পাবার যোগ্য এবং সেই সাথে ভালো মাইনে বা বেতন পাবার মত যথেষ্ট যোগ্যতা আপনার আছে?
৫৯. আপনি কি অধিকাংশ সময়েই আত্মবিশ্বাসী থাকেন নিজের এবং নিজের কাজের সমন্ধে?
৬০. আপনার আত্মবিশ্বাস নষ্ট হয়ে যাবার ক্ষেত্রে কোন জিনিষটা সব থেকে বেশি দোষী?
৬১. সেই জিনিষটা রিকভার করার চেষ্টা করেছেন কখনো, কিভাবে?
৬২. আপনি সবথেকে বেশি কিসে ভয় পান?
৬৩. লক্ষ্যে পৌছানোর জন্য কি ধরনের নতুন আচরণ আপনাকে সাহায্য করতে পারে? 
৬৪. আপনি কি মনে করেন নতুন কিছু করার জন্য আপনি প্রস্তুত?
৬৫. কেন বা কেন নয়?
৬৬. অন্যেরা আপনার সফলতা নিয়ে আসলে কি ভাবে না ভাবে এসব বিষয়গুলো কি আপনি নিজের মনে প্রশ্রয় দেন?
৬৭. আপনি যখন আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে কোনো প্রকার সিদ্ধান্ত নেন, তখন কি এসব চিন্তা মাথায় আসে যে আপনার সিদ্ধান্ত অন্যেরা কি চোখে দেখবে?
৬৮. আপনি কি টাকার কাঙ্গাল নাকি ক্ষমতার?
৬৯. কেন বা কেন নয়?
৭০. আপনি আপনার ক্যারিয়ারে ঠিক যা চেয়েছিলেন আর আজ আপনি যেখানে আছেন এই দুটি বিষয় তুলনা করলে আপনি আপনার নিজেকে কি পরামর্শ দেবেন?
৭১. আপনি যদি উদ্দ্যোক্তা হয়ে থাকেন, তাহলে নিজেকে নিজেই প্রশ্ন করুন যে আপনি সত্যি কি একজন উদ্দ্যোক্তা হবার যোগ্যতা রাখেন?
৭২. আপনার নিজের এই ব্যবসাটি পরিচালনার ক্ষেত্রে আপনার সবথেকে পছন্দের বিষয়টি কি?
৭৩. আর সবথেকে কোনটি বেশি অপছন্দের?
৭৪. আপনি কি সত্যি আপনার স্বপ্নের জবে নিযুক্ত?
৭৫. যদি না হয়ে থাকে, তাহলে আপনি এবার নিজেকেই প্রশ্ন করে দেখুন যে আপনার স্বপ্নের জব কি আসলে?
৭৬. আপনি কি অধিকাংশ সময়ই অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসি থাকেন নাকি আপনাকে এর পেছনে অনেক বেশি স্ট্রাগল করতে হয়?
৭৭. আপনি কি একা কাজ করতে ভালবাসেন?
৭৮. সেরা চিন্তাগুলো আপনার মাথায় কিভাবে আসে?
৭৯. কোথায় বসে এই সেরা চিন্তাগুলো আপনার মাথায় আসে?
৮০. আপনি যেই কাজ করেন সেই কাজে আপনি নিজেকে কতটা স্বয়ং সম্পূর্ণ মনে করেন?
৮১. যদি উত্তর না হয়ে থাকে, তাহলে নিজেকে জিজ্ঞেস করুন কেন নয়?
৮২. কোনো কিছু চিন্তা করার জন্য আপনি নিজেকে কি যথেস্ট সময় দেন?
৮৩. সময়ের পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনি নিজেকে কতটা দক্ষ এক্সিকিউটিভ বলে মনে করেন?
৮৪. যদি আপনার সত্যি অর্থে দক্ষ না হয়ে থাকেন, তাহলে এই না হওয়ার পেছনে নিশ্চয় কোনো ক্ষোভ আছে আপনার, কি সেই ক্ষোভ?
৮৫. আপনি কি কখনো চেষ্টা করেছেন নিজের মন সেই ক্ষোভ তাড়াতে? কিভাবে?
৮৬. আপনার নিজের সমন্ধে সেই সাথে আপনার নিজের ব্যবসা নিয়ে আপনার কি স্বচ্ছ ধারণা আর সুস্পষ্ট দূরদৃষ্টিতা রয়েছে?
৮৭. আপনি যে কাজটি করেন সেটা কি আপনার সর্ব বৃহৎ শক্তিকেই প্রকাশিত করে?
৮৮. যদি তা না হয়ে থাকে তাহলে আপনি কি আপনার দুর্বলতার জায়গাগুলোতে অন্যদের কাছ থেকে সাহায্য নিয়ে থাকেন?
৮৯. আপনার কর্মদক্ষতার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধাগুলো কি কি? কোন ধরনের বাধাগুলো আপনাকে সব কিছু থেকেই পিছিয়ে রাখে?
৯০. কর্মক্ষেত্রের এই ধরনের বাধাগুলো সরিয়ে ফেলার জন্য আপনি কি কোনো পরিকল্পনা বা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন?
৯১. যদি না হয়ে থাকে, তাহলে কেন নেয়া হয়নি এখনো?
৯২. যদি হ্যা হয়ে থাকে, তাহলে সেই পরিকল্পনা আর পদক্ষেপগুলো কি কি? শুরু করে দিয়েছেন নাকি এখনো হয় নি? আজ থেকে শুরু করতে পারবেন?
৯৩. সপ্তাহে একদিনের জন্য হলেও কি আপনি নিজেকে নিজের কমফোর্ট জোনে নিয়ে যান?
৯৪. আপনি কিভাবে বুঝতে পারেন যে আপনি দিনের পর দিন নিজের জন্য সময় বের করতে পারেন নি? নিয়ে যেতে পারেন নিজেকে নিজের কমফোর্ট জোনে?
৯৫. আপনি নিজেকে কতটা সফল মনে করেন?
৯৬. আপনার মতে সফলতার সংজ্ঞা কি?
৯৭. সেই সংজ্ঞা কি আপনাকে প্রভাবিত করে? সেটা কি আপনার চালিকাশক্তি?
৯৮. আপনার ব্যবসাতে বা কর্মক্ষেত্রে সেই চালিকাশক্তিগুলো কি কখনো কাজে লাগিয়েছেন?
৯৯. যদি না এনে থাকেন, তাহলে প্রতিদিনের কাজে বা কর্মক্ষেত্রে সেগুলো আনতে বলা হলে আপনি কিভাবে সেগুলোর প্রয়োগ করবেন?
১০০. নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করে আপনি কি শিখলেন নিজের জীবন সমন্ধে? এবং উপরোক্ত প্রশ্নগুলোর উত্তরের মধ্যে দিয়ে কি চিত্র পেলেন শেষ পর্যন্ত নিজের বর্তমান অবস্থান সমন্ধে? জানতে পারি কি?
 
জানাতে না চাইলে দরকার নেই, তবে অন্যকে না জানালেও নিজে জানুন, ভালো করে বোঝার চেষ্টা করুন বর্তমান অবস্থান সমন্ধে।  যাচাই করে দেখুন নিজেকে, বদলে ফেলুন যা কিছু বদলানোর, ভালো প্রাপ্তিগুলোকে উন্নত করুন আরো বেশি, অন্তত ধরে রাখার চেষ্টা করুন। দেখবেন, কতটা শান্তি পাচ্ছেন মনে। ব্যাস ! আর কি, হয়ে গেলো না মুশকিল আসান। 

Comments

Popular posts from this blog

মনোবিজ্ঞান সম্পর্কে অজানা তথ্য জানুন

 মনোবিজ্ঞান বা মানুষের মনের গবেষণাঃ আমরা প্রতিদিন অনেক ধরণের কাজ করি। চেতন কিংবা অবচেতন মনে আমরা অনেক কাজ করে ফেলি কিংবা করতে পছন্দ করি। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা কিন্তু জানিনা এই কাজগুলো আমরা কেন করি! 'নিজেকে জানো' মতবাদ নিয়ে সক্রেটিস বেশ মুক্ত আলোচনা করেছিলেন। সারাজীবন তিনি ব্যয় করেছেন এই নিজেকে জানার মধ্যে। যদিও নিজেকে জানার জন্য সক্রেটিসের "নিজেকে জানো" পন্থাটি যথেষ্ট ছিলো, তবুও সত্যিকার অর্থে আমরা নিজের সম্পর্কে খুবই কম জানি। বেশ চাঞ্চল্যকর হলেও সত্যি যে, আমরা নিজের সম্পর্কে যা জানি, অন্যের সম্পর্কে তার চেয়েও বেশি জানি। অন্যের ভালো, খারাপ, প্রশংসা, নিন্দাসহ বেশ কিছু উপর্সগ কিংবা অনুসর্গ আমরা ধরতে পারলেও নিজের সম্পর্কে আমরা আসলে অনেক কিছুই জানিনা। মনোবিজ্ঞান নিয়ে বিজ্ঞানীরা দীর্ঘদিন ধরে আমরা কীভাবে পৃথিবীকে উপলব্ধি করি এবং আমাদের আচরণকে কে নিয়ন্ত্রণ করি তার উত্তর জানার চেষ্টা করে আসছেন। বিজ্ঞানের এই পর্যায়ে এসে তারা বেশ সফল হয়েছেন এবং মানুষের মনস্তাত্ত্বিক অনেক কাজের কারণ তারা উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছেন। আজকের আলোচনায় আমরা বেশ কয়েকটি হিউম্যান বিহ্যাভিয়ার কিংবা মানুষের

(মা`আল মোস্তফা) বই পিডিএফ লিংক । সাড়া জাগানো সিরাত বিষয়ক বই।

পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতু কথন https://roar.media/bangla/main/world/bridge-of-longest-bridge-in-the/amp

সেতু কথন ঃঃ পৃথিবীর দীর্ঘতম সেতু পদ্মা সেতু নিয়ে আমাদের কতই না আগ্রহ। সমান আগ্রহ ছিল সেই যমুনা সেতু নিয়েও। একেকটি সেতু কেবল একেকটি জনপদকেই যুক্ত করে না, সহজ করে জীবনকে, বাঁচিয়ে দেয় মহামূল্যবান সময়। পাশাপাশি অর্থনৈতিক সংযুক্তির ব্যাপার তো থাকছেই। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু যমুনা ব্রিজ। চার কিলোমিটারেরও বেশি দৈর্ঘ্যের এই সেতু আমাদের অনেক অর্জনের, অনেক পাওয়ার। সূর্যাস্তে যমুনা সেতু; Image Credit: Asif Quazi অন্যদিকে, বহুল আকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুও নির্মিত হচ্ছে পালে তিরতির হাওয়া লাগার গতিতে। একটু একটু করে নাম লেখাচ্ছে নতুন অর্জনের খাতায়। সফলভাবে পদ্মা সেতু তৈরি হলে যমুনা সেতুর জন্য একটু খারাপ খবরই বটে। কারণ তার নাম চলে যাবে দ্বিতীয় অবস্থানে। সোয়া ছয় কিলোমিটারের পদ্মা সেতু হয়ে যাবে বাংলাদেশের দীর্ঘতম সেতু। বিশ্বজুড়ে সেতু হলো নির্মাণের অন্যতম একটি শিল্পকলা। এসব স্থাপনা মানুষের জীবনকে সহজ করে তোলে। হাজার হাজার বছর ধরে এই ধরনের স্থাপনা এক ভূখণ্ড থেকে আরেক ভূখণ্ডের মানুষকে সংযুক্ত করে চলেছে। স্থাপত্যবিদ্যার আশীর্বাদ ও প্রযুক্তির কল্যাণে নিত্যনতুন স্থাপনা নির্মাণ হচ্ছে বটে, কিন্তু নির্মাণ